facebook security

ফেসবুক পেইজের সিকিউরিটির জন্য যা করবেন

আমার খুব খারাপ লেগেছিল। সেদিন এক পরিচিত আপু ফোন দিল। ওনার কণ্ঠস্বর শুনে মনে হচ্ছিল এই বুঝি কেঁদে দিবেন। কারণ কি জানেন? কারণ তার কষ্টের তিল তিল করে গড়ে তোলা ফেসবুক পেইজ একজন হ্যাকার ডিলিট করে দিচ্ছে। হ্যাকার বললে ভুল হবে, প্রেফশনাল কাজ করানোর জন্য একজনকে পেইজের অ্যাডমিন বানিয়েছল, সেই ব্যক্তি এখন বাকি সবাইকে পেইজ এর রোল থেকে রিমুভ করে দিয়ে নিজেই একা অ্যাডমিন। এবং কিছু ব্যক্তিগত সমস্যার জের ধরে এখন সেই পেইজ ডিলিট করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। আপু আমার কাছে জানতে চেয়েছে এখন ওনার করনীয় কি। আমি বললাম ডিরেক্ট ফেসবুক সাপোর্ট এর সাথে কথা বলে বিষয়টা বোঝাতে। আপু তাই করলেন, কিন্তু তারাও জানালো অ্যাডমিনের হাতেই এখন পুরো ক্ষমতা এবং সে ব্যাপারে তাদের কিছু করার নেই।
যারা অনলাইনে ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে ব্যবসায় করেন, তাদের অনেকেরই প্রফেশনাল কারণে ব্যবসায়ের বাইরের ব্যক্তিদের পেইজের অ্যাক্সেস দিতে হয়। আজকে বলতে চাই কি কি বিষয়ে সতর্ক থাকার মাধ্যমে আপনার ফেসবুক পেইজকে এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে রক্ষা করতে পারবেন।
অ্যাডমিন রোল সবাইকে দিবেন নাঃ ফেসবুক বুস্ট, ম্যাসেজের উত্তর, পোস্ট করা ইত্যাদি কারণে অনেক সময়ে বাইরের ব্যক্তিদের পেইজে রোল দিতে হয়। সেক্ষেত্রে কখনোই অ্যাডমিন রোল দিবেন না। বুস্টের জন্য অ্যাডভাটাইসার রোল যথেষ্ট, কিছু কিছু ক্ষেত্রে এডিটর রোল প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু কখনোই অ্যাডমিন রোলের প্রয়োজন হয় না উপরের কাজগুলোর জন্য। যে যতই হাইকোর্ট দেখাক, অ্যাডমিন রোল নিজেদের মধ্যেই রাখবেন। কারণ অ্যাড দিতে, পোষ্ট করতে, ম্যাসেজের উত্তর দিতে অ্যাডমিন হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। কেউ যদি আপনার কাছে অ্যাডমিন রোল চায় তাহলে সঠিক কারণ জিজ্ঞাসা করবেন, এবং তা অন্য কারো কাছ থেকে যাচাই করে নিবেন।
অনেক সময় নতুন পেইজ অন্যের খুলে দিতে হয়। সেক্ষেত্রে পেইজ খোলা মাত্র আপনাকে অ্যাডমিন বানাতে বলবেন এবং সেবা প্রদানকারী কে অ্যাডমিন রোল থেকে সরিয়ে দিবেন কাজ হয়ে যাওয়া মাত্র।
ফেসবুক প্রুপ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও গ্রুপের অ্যাডমিন রোল বুঝে শুনে দিতে হবে। গ্রুপকে পুঁজি করে যাতে কেউ কোন অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।
পেমেন্ট ইনফরমেশন শেয়ার করবেন নাঃ অনেকেই নিজের কার্ড ব্যবহার করে বুস্টের জন্য বলেন। অনেকে এরকম সার্ভিস দিয়েও থাকে। একান্ত বিশ্বস্ত না হলে নিজের কার্ডের তথ্য অন্যের সাথে শেয়ার করবেন না। আপনার কার্ডের বিস্তারিত যাতে আপনি ছাড়া আর কেউ না জানে। কার্ডের তথ্য জেনে গেলে আপনি অনেক রকমের বিপদে পরতে পারেন।
ফেসবুক আই ডি এর পাসওয়ার্ড শেয়ার করবেন নাঃ আমার কাছে এরকম অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে কেউ কেউ তাদেরকে বলেছে ফেসবুক পেইজে কাজ করতে হলে তাদের ফেসবুক আই ডি এর পাসওয়ার্ড প্রয়োজন। এবং সব ক্ষেত্রে আমি মেয়ে কাস্টমারদের থেকেই এরকম অদ্ভুত কমপ্লেইন পেয়েছি, বলাই বাহুল্য এর পেছনে অসাধু উদ্দেশ্য ছাড়া আর কিছুই নেই। সুতরাং কোন অবস্থাতেই ফেসবুক পেইজের কাজের জন্য কারও সাথে পার্সোনাল ফেসবুক প্রোফাইলের আই ডি পাসওয়ার্ড শেয়ার করবেন না।
নিজের ইমেইল নিজের রাখুনঃ আপনি যেই ইমেইল অ্যাড্রেস দিয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন সেটার পাসওয়ার্ড কাজের স্বার্থে কারও সাথে শেয়ার করবেন না। আপনার অনেক ব্যক্তিগত তথ্য সহজেই তারা পেয়ে যেতে পারে, তাই সেক্ষেত্রেও আপনাকে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। যদি শেয়ার করে থাকেন, তাহলে দ্রুত আপনার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ফেলুন।
একটি বিজনেস ম্যানেজার অ্যাকাউন্ট খুলুনঃ আপনি যদি ফেসবুক ব্যবহার করে ব্যবসায় করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই একটি বিজনেস ম্যানেজার অ্যাকাউন্ট খুলে নিবেন। বিজনেস ডট ফেসবুক ডট কমে গিয়েই আপনি প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আপনার বিজনেস ম্যানেজার অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলতে পারবেন। সহজ করে বললে আপনার পেইজের সুরক্ষার জন্য এটি আপনার কাজে আসবে। এবং নিশ্চিত করবেন আপনার পেইজ আপনার বিজনেস ম্যানেজারের আওতায় আছে।
নিজের সাবধানতা নিজের উপর। তাই একজন প্রাক্টিশনার হিসেবে আমার দায়িত্ব সচেতনতা বৃদ্ধি করা, বাকিটা আপনাদের উপর। আশা করি এসকল ব্যাপারে নিজেদের আপডেটের রাখলে এবং সতর্ক থাকলে আপনারই উপকার হবে। সফল হোক আপনাদের চেষ্টা, ভাল থাকুক সকল উদ্যোক্তা।
facebook disabled

ফেসবুক অ্যাড অ্যাকাউন্ট ডিস্যাবেল হলে কি করবেন?

ফেসবুক আমাকে যেভাবে ঘুরিয়েছে, কোন মেয়ে আমাকে এভাবে ঘুরাতে পারেনি। 😅 সময়টা ছিল মে মাস এর ২৯ তারিখ। যে কয়েকজন ক্লায়েন্ট এর বুস্ট চলছিল সেই মাসের মত সেগুলো সব শেষ, নতুন কোন অ্যাড ও দেইনি, বিলও অল ক্লিয়ার হঠাৎ একদিন অ্যাড ম্যানেজারে গিয়ে দেখি “Your Ad Account is Disabled”, টিনের চালে কাক, আমি অবাক। অ্যাড দিলাম না, কিছুই করলাম না, পেমেন্টও ক্লিয়ার তারপরেও ফেসবুক আমার অ্যাড অ্যাকাউন্ট ডিস্যাবেল করে দিল। আগেও করেছে, তাই ঘাবড়ে না গিয়ে নিচের স্টেপগুলো ফলো করলাম।
  • আমার অ্যাড অ্যাকাউন্ট থেকে **“Request Review” ** অপশনে ক্লিক করলাম।
  • তখন ফেসবুক আমাকে জানালো যে রিভিউ করার আগে আমাকে **“Identity Confirmation” **করতে হবে। তার জন্য এন আই ডি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট যেকোনো একটা দিতে হবে। যদিও আমি এর আগে একবার পাসপোর্ট দিয়ে এই অ্যাকাউন্টটার Identity Confirmation করেছিলাম, এরপরও আবার সাবমিট করি। ফেসবুক বলল ৪৮ ঘন্টা সময় নিবে।
  • ২ দিন পর অ্যাড ম্যানেজারে গিয়ে দেখি **Identity Confirmation Failed **এবং নতুন করে কিছু সাবমিট করার অপশন নেই। এত মহা ঝামেলা হল।
  • এরপর আমি নক দিলাম ফেসবুক সাপোর্ট এ।

এবং শুরু হল আমার ভোগান্তি। তারা সবকিছু শুনে আমাকে বলে তাদেরকে সময় দিতে তারা ব্যাপারটা দেখছে। আমি ২ সপ্তাহ সময় দিলাম, দিয়ে আবার সাপোর্টে কেইস এর ফলো আপ করলাম। তখন আমাকে বলল আপনার লগ ইন এরিয়া এবং আপনার কার্ড এর এরিয়া আলাদা। আমি আবার আকাশ থেকে পরলাম। থাকি ঢাকায়, কার্ড লোকাল ব্যাংকের, কিভাবে লোকেশন আলাদা হয়? আবার তাদের সব তথ্য পাঠালাম। আবার সময় চাইল, আমিও সময় দিলাম।

এভাবে চলে গেল ২ সপ্তাহ। আবার ফলো আপ দিলাম। এবার শুনি আমাকে নাকি আবার ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে। কিন্তু আমার অ্যাড অ্যাকাউন্টে তো সাবমিট এর অপশনই নেই! সাপোর্ট থেকে একটি মেইল অ্যাড্রেস দিল, মেইল করলাম সব ডকুমেন্ট। সময় চাইল, সময় দিলাম। এভাবে ঘণ্টা ঘুরে দিন, দিন ঘুরে সপ্তাহ পার হয়ে যায়। পণ্যের ডেলিভারি হয়ে যায়, আমার অ্যাড অ্যাকাউন্ট ফেরত আসে না, ভাবলাম দেরি করাই বুঝি এখন ট্রেন্ড। গত চার মাসে কমপক্ষে ৮-৯ বার ফেসবুকের সাপোর্টে কথা বলেছি। সবাই ৪৮ ঘণ্টা সময় চায়, ৪৮ ঘণ্টা বোধহয় আর আসে না।

এক পর্যায়ে ফেসবুক স্বীকার করে যে এটা তাদের দিকের একটি ইস্যু যার কারণে বিশ্বব্যাপী অনেক অ্যাড অ্যাকাউন্ট ডিস্যাবেল হয়েছে, তারা কাজ করছে; কোন আপডেট আসলে জানাবে। চার মাস শেষ, কেউ কথা রাখেনি। আপনাদের ভয় দেখাচ্ছি না, নিজের দুঃখ শেয়ার করলাম।

সাধারণত অ্যাড অ্যাকাউন্ট ডিস্যাবেল করে দিলে **নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করলেই ঠিক হয়ে যায়ঃ **

  • কোন বকেয়া থাকলে পরিশোধ করা
  • অ্যাড অ্যাকাউন্ট এর Account Quality অপশন থেকে **Request Review **দেয়া
  • Identity Confirmation এ ভোটার আই ডি কার্ড বা পাসপোর্ট বা লাইসেন্স জমা দেয়া। উল্লেখ্য যে,** আপনার ফেসবুক প্রোফাইলের নাম, ছবি ইত্যাদি যেন ডকুমেন্ট এর সাথে মিল থাকে**, নাহলে Identity Confirmation Failed বলে ফেসবুক আপনাকেও ঘুরাতে পারে।
  • Identity Confirmation হয়ে গেলে রিভিউ প্রক্রিয়া শেষ করা
  • এবং সব ঠিকমত হলে আপনি অ্যাকাউন্ট ফেরত পাবেন, নতুবা চিরতরে ডিস্যাবেল করে দিবে।
আপনার নিজের অ্যাকাউণ্ট ডিস্যাবেল হলে নিজেই উপরের ধাপগুলো অনুসরণ করে এটা ঠিক করে নিতে পারবেন। আর নাহলে নতুন প্রোফাইল খোলা ছাড়া কোন উপায় থাকে না। সম্প্রতি অনেকেই এ ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, আশা করি তাদের জন্য এই লেখাটা কাজে আসবে। সকল ভাল অ্যাড অ্যাকাউন্ট ফেরত আসুক, সেই প্রত্যাশা রইল।
facebook ads 2

ফেসবুক অ্যাড থেকে ভাল ফলাফল কিভাবে আনবেন?

ফেসবুক অ্যালগরিদম এবং মেয়েদের মন, এদের বুঝতে পারা অনেক কঠিন। মেয়েদের কথা যখন বললাম, একটু ছেলেদের কথাও বলি। ফেসবুক অ্যালগরিদম এবং হাসবেন্ড এর মধ্যে কি মিল জানেন? যেকোনো কিছুর দোষ এদের উপর অনায়াসে চাপিয়ে দেয়া যায়। তবে হ্যা, কেউ ধোয়া তুলসি পাতা না। এক হাতে তালি বাজে না। আপনাদের মনোযোগ যেহেতু পেয়েছি, এখন কাজের কথা বলি। যারা ফেসবুকে নিজেরা অ্যাড দিচ্ছেন অথবা কোন সার্ভিস প্রভাইডারের কাছ থেকে সার্ভিস নিচ্ছেন, এই লেখা তাদের জন্য। আগেও বলেছি, আবারও বলব, আমার লেখা ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রাম ভিত্তিক ছোট এবং মাঝারি ব্যবসায়ের জন্য বেশী প্রযোজ্য।
আমরা আজকে কিভাবে ভাল অডিয়েন্স তৈরি করতে হয় সেটা বলব না, এর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় আছে সেটা হচ্ছে আপনার অ্যাড এর স্ট্র্যাটেজি। অর্থাৎ প্র্যাক্টিকালি অ্যাড শুরু করার আগে আপনি আগে অ্যাড এর স্ট্র্যাটেজি তৈরি করবেন। আপনার স্ট্র্যাটেজি যত বুলেট প্রুফ হবে, আপনার অ্যাড থেকে ভাল ফলাফল আসার সম্ভাবনা ততো বেশী হবে।
আপনার অ্যাড স্ট্র্যাটেজি তে কি কি থাকতে পারেঃ
১। আপনার টার্গেট – কোন প্রোডাক্ট বিক্রয় করতে চান, কি পরিমাণ বিক্রয় করতে চান, কবের মধ্যে স্টক শেষ করতে চান ইত্যাদি।
২। কাদেরকে অ্যাড দেখাবেন – কাস্টমার সেগমেন্ট বা পারসোনা
৩। কি ধরণের অ্যাড দেখাবেন – বিভিন্ন ধরনের অ্যড অব্জেক্টিভ থেকে কোন ধরণের অ্যাড চালাবেন সেটা
৪। অ্যাড এর পেছনে টোটাল কত বাজেট রাখবেন
৫। অ্যাড এ কি দেখাবেন – ছবি, ভিডিও, ক্যারাওসেল ইত্যাদি
অ্যাড শুরু করার আগে এই বিষয়গুলো একদম ক্লিয়ারলি ঠিক করে নিবেন। একটা কথা আছে, “Failing to Plan is Planning to Fail” অর্থাৎ পরিকল্পনা করতে ব্যর্থ হওয়া, ব্যর্থতার পরিকল্পনা করার মতই। তাই অ্যাড শুরু করার আগে আপনার এই পরিকল্পনা তৈরি করুন। আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে এখন ৪টি বিষয় আলোচনা করব যা আপানাদেরকে ফেসবুক অ্যাড থেকে ভাল ফলাফল আনতে সাহায্য করবে ইন শা আল্লাহ্‌।
১। একসাথে অনেকগুলো অ্যাড চালানঃ আমরা দেখেছি, কোন পেইজে একসাথে অনেকগুলো অ্যাড রানিং থাকলে অভারল একটি ভাল রেসপন্স আসে। একাধিক ম্যাসেজ ক্যাম্পেইন, সাথে লাইক ক্যাম্পেইন এবং এঙ্গেজমেন্ট ক্যাম্পেইন ইত্যাদির একটা ব্লেণ্ড করে অ্যাড রান করলে পেইজের রিচ, এঙ্গেজমেন্ট এবং অভারল রেসপন্স অনেক ভাল আসে। তাই চেষ্টা করবেন আপনার বাজেটকে বিভিন্ন ধরণের অ্যাডের পেছনে একসাথে খরচ করতে। প্রডাক্টভেদে কোন ধরনের অ্যাড দেখাবেন সেটা ভিন্ন হতে পারে, তবে একটা অ্যাড এর থেকে একাধিক অ্যাড চালালে ফলাফল ভাল আসে। টার্গেটিং এর ক্ষেত্রে আপনি চাইলে ভিন্ন ভিন্ন কন্টেন্ট এক টারগেট অডিয়েন্সকে দেখাতে পারেন, বা একটু মডিফাই করে নিতে পারেন।
২। লম্বা সময় ধরে অ্যাড রান করবেনঃ ফেসবুক অ্যাড এর লার্নিং ফেইজ নামে একটি বিষয় আছে। এই সময়টায় অ্যাডটা পারফর্মেন্স এর উপর ভিত্তি করে শিখতে থাকে কোন ধরণের অডিয়েন্স এর কাছে অ্যাড দেখালে ফলাফল ভাল আসবে। অ্যাড যত লম্বা সময় ধরে চলবে, ফেসবুক আরটিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ততো ভাল অডিয়েন্সের ধরণটা বুঝতে পারবে। নুন্যতম ৫-৭ দিন ধরে অ্যাড না চললে ভাল ফলাফল আশা করা ঠিক হবে না। তাই টি-২০ না খেলে, টেস্ট খেলুন।
৩। যত দোষ নন্দ ঘোষঃ অ্যাড ভাল পারফর্ম না করলেই ফেসবুককে দোষ দেয়া যাবে না। টার্গেট ভাল হলেও অ্যাড এর ক্রিয়েটিভ অর্থাৎ ছবি/ভিডিও এবং লেখা মান সম্মত না হলে অ্যাড থেকে ভাল রেজাল্ট আসবে না। ওয়েবসাইট এর ইউজার এক্সপেরিয়েন্স দাত ভাঙা হলে পকেটে টাকা আসবে না। তাই অ্যাড থেকে ভাল ফলাফল পেতে হলে সবগুলো বিষয়ের দিকেই সমান মনোযোগ দিতে হবে।
৪। ফলো ওয়াট ওয়ার্কসঃ কোন ধরণের টার্গেট অডিয়েন্স বা একটি নির্দিষ্ট পোস্ট থেকে যদি ভাল ফলাফল পান, তাহলে বেশী না বুঝে সেটা বার বার ফলো করুন। সেইম স্টাইল এবং সেইম ফরম্যাট ব্যবহার করুন। যতদিন পর্যন্ত ভাল পারফর্মেন্স পাবেন, চুপ চাপ সেটা ফলো করে যান। পারফর্মেন্স ক্রমাগত খারাপ হতে থাকলে এরপর আবার বিষয়টা রিথিঙ্ক করতে পারেন।
আপনার ফেসবুক পেইজে নেক্সট অ্যাড দেয়ার আগে উপরের বিষয়গুলো ভাবুন এবং এর আলোকে প্ল্যান করে আগানোর চেষ্টা করুন। আশা করি ভাল ফলাফল পাবেন।